শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ - ১০:৩৭
কবরস্থানে গিয়ে যদি কেউ কিছু না শেখে, তবে তা ক্ষতির কারণ

হযরত আয়াতুল্লাহ জাওয়াদী আমুলী বলেছেন, “মানুষ কবরস্থানে যায় কেন? শুধু মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে, নাকি নিজেও কিছু শেখার জন্য? বলা হয়েছে—মা-বাবার জন্য ক্ষমা চাও, মুমিনদের জন্য ইস্তিগফার কর, কারণ তুমি সুরা ফাতিহা, কুরআনের আয়াত ইত্যাদি তাদের জন্য পাঠ করছ। কিন্তু তুমিও নিজে একটি দোয়া করো, তাদের সাথে কথা বলো, তাদেরকে শপথ দাও! বলো: 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর শপথ দিয়ে বলো, সেখানে কী অবস্থা?' এটা একটি মাদ্রাসা (শিক্ষার স্থান)।”

হাওজা নিউজ এজেন্সি:  হযরত আয়াতুল্লাহ জাওয়াদী আমুলী (রহ.) কবরস্থানের শাস্তি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, “কেউ যদি কবরস্থানে যায় এবং ফিরে এসেও কিছু না শেখে, তবে তা প্রকৃতপক্ষে ক্ষতি!

এটা এমন নয় যে, 'যে সেখানে গেছে, সে কোনো খবর নিয়ে ফিরে আসেনি'—না! যে সত্যিকার অর্থে জ্ঞান অর্জন করেছে, সে অবশ্যই কিছু শিক্ষা নিয়ে ফিরেছে। আমরা যদি সঠিকভাবে জিজ্ঞাসা না করি, তবুও এই কথাগুলো সত্য।”

প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ও শিক্ষা:

১. কবরস্থানের প্রকৃত উদ্দেশ্য: 

   - শুধু মৃতদের জন্য দোয়া করাই নয়, বরং মৃত্যুপরবর্তী জীবন সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন করা। 
   - আয়াতুল্লাহ জাওয়াদী আমুলী (রহ.) একে “মাদ্রাসা” বলেছেন, কারণ এখানে মানুষ মৃত্যু, আখিরাত ও আল্লাহর সামনে জবাবদিহির বিষয়ে শিক্ষা পায়। 

২. মৃতদের সাথে কথোপকথনের পদ্ধতি:

   - তাদেরকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করা: “সেখানে (কবরে) তোমরা কী দেখছ?” 
   - এটি একটি আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া, যা মৃত্যুপরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। 

৩. প্রত্যাবর্তনের দায়িত্ব:

  - কবর থেকে ফিরে জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য বুঝতে হবে। 
   - হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, “মৃত্যুকে বেশি স্মরণ করো, যাতে তা তোমাদের দুনিয়ার মোহ থেকে বিরত রাখে।” 

প্রয়োগিক দিক:

- কবর যিয়ারতের সময় নিজের জন্য উপদেশ নেওয়া জরুরি। - মৃত্যু ও আখিরাতের স্মরণ দুনিয়ার প্রতি আসক্তি কমায় এবং আল্লাহমুখী জীবন গঠনে সাহায্য করে।

যে ব্যক্তি তার মৃত্যুকে স্মরণ করে, “আল্লাহ তার চোখে দুনিয়ার মূল্য কমিয়ে দেন!”

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha